পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবন্টন চুক্তির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। দিল্লি সফর শেষে ঢাকা ফিরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন সফরে এ বিষয়ে চুক্তি হচ্ছে না। তবে বিধানসভা নির্বাচন শেষে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী সচিব।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইস্যু। দু’দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি হলেও তিস্তাসহ আলোচনায় থাকা ৮টি নদীর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে এখনও কোনো সুরাহা হয়নি।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে দু’দেশ তিস্তা চুক্তির সাক্ষরে একমত হয়। তবে শেষ মুহূর্তে এসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতায় চুক্তিটি হয়নি।
এরপর বিভিন্ন সময়ে আলাপ-আলোচনা হলেও দশ বছরেও চুক্তিটি করা যায়নি। দীর্ঘ দশ বছর পর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের মাটিতে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হলো। সফর থেকে ফিরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন একটা নিমন্ত্রণে, একটা ভিন্ন ধরনের পরিবেশে-আবহে। সেখানে এই বিষয়গুলোকে তারা বলছেন এতো অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো সুরাহা করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে অবশ্যই এটা আমরা করবো।
চুক্তি না হওয়ার মূল কারণ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতানৈক্য। বিধানসভা নির্বাচনের পর চুক্তির বিষয়ে আশাবাদের কথা জানান সচিব।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, তিস্তার ক্ষেত্রে ফ্রেম ওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের খসড়া তো হয়েই আছে। এটি শুধু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও তাদের প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে বোঝাপড়াটা হলেই এটা যে কোন সময় স্বাক্ষর হতে পারে- এরকম আশ্বাস তারা দিয়েছে।
পানিসম্পদ সচিব জানান, আরও ছয়টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সচিব আরও জানান, ৫৪টি অভিন্ন নদী, আমরা সবগুলোকেই একে একে এড্রেস করবো।
নদী বন্দর / পিকে