দিনাজপুরের হাকিমপুরে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ভুমিহীন ও গৃহহীন প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর পাওয়ার আশায় পথ চেয়ে আছেন তোহমিনা বেগম। স্বামী থেকেও নেই, এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার কাঁধে বোঝা হয়ে আছেন তিনি। চেয়ারম্যান-মেম্বার নিটক ধর্না ধরেও মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া একটি ঘর।
হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে হিলি-বিরামপুর সড়কের সাথে আড়াই শতক জায়গার উপর টিনের ঘেরা একটি নড়বড়ে ছোট ঘর। আর সেই ছোট ঘর বৃদ্ধ বাবা আর ৬ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে তোহমিনার বসবাস। একটু ঝড়-বৃষ্টিতে কেঁপে ওঠে সেই ঘর। টাকার অভাবে বাড়তি কোন ঘর বা পুরাতন ঘরটিও মেরামত করতে পারছেন না তাহমিনা।
বিয়ে হয়েছে তার ৯ বছর আগে, প্রায় তিন বছর হলো স্বামী আবার বিয়ে করে চলে গেছে, খরচপাতিসহ শিশুটির কোন খোঁজ -খবর রাখেন না তার স্বামী। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তিনি।
প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেন বলেন, মেয়েটি বড় দুঃখী, স্বামী অন্যেত্র বিয়ে করে চলে গেছে। বাবা মতিয়ার রহমান গরীব মানুষ।মেয়ে আর নাতনিকে নিয়ে ছোট একটা কুঁড়ে ঘর থাকে। এতে তাদের খুব কষ্ট হয়।
বাবা মতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তার সাথে টিন দিয়ে একটা কোন রকম ঘর করে আছি। সরকার যদি একটা ঘর আমার মেয়েটি উপহার দিতো,তাহলে উপকার হতো।
তোহমিনা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ, কেউ খোঁজ রাখে না। একটা ঘরের জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্না ধরেছি। এখনও কোন ব্যবস্থা হয়নি। সামান্য জায়গাতে ভাঙাচোরা ঘরে বাবা আর বাচ্চাকে নিয়ে বড় কষ্টে আর আতঙ্কে আছি। সরকার যদি আমাকে একটা ঘর তৈরি করে দেয়, তাহলে আমার আর কোন কষ্ট, দুঃখ থাকবে না।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, সরকারি ঘর পাওয়ার বিভিন্ন নীতিমালা রয়েছে, ডাঙ্গাপাড়ার তাহমিনা যদি এই নীতিমালার মধ্যে পড়ে, তাহলে অবশ্যই সে ঘর পাবে। বর্তমান যে সব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের কোন জায়গা বা ঘর নেই, তাদের মাঝে এই সরকারি ঘর দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে যদি জায়গা আছে ঘর নেই, এমন সরকারি বরাদ্দ আসে তাহলে অবশ্যই তোহমিনাকে একটি ঘর দেওয়া হবে।
নদী বন্দর / পিকে