এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে গিয়ে বাড়তি বাউন্স ও গতির কারণে সমস্যায় পড়ে উপমহাদেশের ব্যাটাররা।
এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য অতি কার্যকর এক পদক্ষেপ হাতে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিজেদের ব্যাটারদের বাউন্সি ও দ্রুতগতির উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ৩৭ কোটি রুপি খরচে ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।
ড্রপ-ইন পিচ বলতে বোঝায়, বাইরে থেকে পছন্দমতো চরিত্রের উইকেট বানিয়ে সেটা মাঠের মধ্যে পিচের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানেও অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের মতো দ্রুতগতির উইকেট পাওয়া সম্ভব।
পিসিবির দেশব্যাপী ক্রিকেট উন্নয়নের অংশ হিসেবে নেওয়া নানান পদক্ষেপের অন্যতম এই ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহার। পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা জানিয়েছেন করাচি ও লাহোরে বসানো হবে দুইটি ড্রপ-ইন পিচ। যার জন্য খরচ হবে ৩৭ কোটি রুপি।
রোববার পাকিস্তান সুপার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট চলাকালীন সময় আরিফ হাবিব গ্রুপের সঙ্গে ড্রপ-ইন পিচের বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেছে পিসিবি। মূলত আরিফ হাবিব গ্রুপই ৩৭ কোটি রুপি খরচায় ড্রপ-ইন পিচ দুইটি এনে দেবে।
চুক্তি অনুযায়ী করাচির নয়া নাজিমাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসানো হবে একটি ড্রপ-ইন পিচ। অন্যটি কোথায় বসানো হবে তা সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে। পিসিবির আশা ২০২২ সালের মধ্যে এই ড্রপ-ইন পিচ বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
রমিজ রাজা বলেছেন, ‘এসব ড্রপ-ইন পিচ আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়দের অনেক সাহায্য করবে। ঐতিহ্যগতভাবেই আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাড়তি বাউন্সে খাবি খাই। যে কারণে প্রতিভা থাকার পরেও অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারিনি।’
নদী বন্দর / পিকে