মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বায়রার দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ফখরুল ইসলাম নামে এক বায়রা নেতা আহত হন৷

সোমবার (১৯ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলায়তনে সংবাদ চলাকালীন এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাড. সাজ্জাদ, আতিক গ্রুপের লোকজন তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াজুল, ফখরুল ইসলাম গ্রুপের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনার পর প্রাণ বাঁচাতে ফখরুল ইসলাম এবং বায়রার সিনিয়র সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম মিলনায়তনের পাশে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং বায়রা নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে বায়রার একাংশের নেতা ফখরুল ইসলাম। তিনি সংবাদ সম্মেলন শুরু করলে সেখানে সাজ্জাদ গ্রুপের লোকজন ঢুকে পড়ে। এ সময় হট্টগোল বাঁধে। উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সাজ্জাদ গ্রুপের লোকজন ফখরুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করেন। এতে ফখরুল আহত হন। পরে ফখরুল প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা ক্র্যাব কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। ঘণ্টাখানেক সেখানে উত্তেজনা চলে। সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে নেতারা ক্লাবটির বাহিরের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েও হট্টগোল করতে থাকে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রিপোর্টার্স ইউনিটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

হট্টগোল চলাকালীন সময়ে তাদেরকে মিলনায়তন থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর উভয় গ্রুপের লোকজন রিপোর্টার্স ইউনিটির বাহিরে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়।

দুই ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হয়েছেন ফখরুল ইসলাম এবং বায়রার সিনিয়র সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। এসময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শাহবাগ থানা পুলিশ।

ঘটনার সময় সাজ্জাদ গ্রুপের লোকজনের হামলায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে দুই গ্রুপের লোকজনকে নিয়ে বসেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা। তারা ডিআরইউ ও ক্র্যাবে হামলা চালানোর ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর হামলাকারী সাজ্জাদ গ্রুপের সদস্যরা ডিআরইউকে ২ লাখ এবং ক্র্যাবকে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হন। এরপর দুই পক্ষ এক সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য সম্মত হয়ে ডিআরইউ এর দ্বিতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলনে জড়ো হন। কিন্তু আবারও তারা তর্কবিতর্কে জড়ায়। পরে ডিআরইউ এর নেতাদের মধ্যস্থতায় ফখরুল গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করেছে।

তাদের অভিযোগ, আজকের ঘটনা শুধুমাত্র সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে। যারা হামলা করেছেন তারা মালয়েশিয়া শ্রম বাজার নিয়ে সিন্ডিকেটকারী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

তারা বলেন, আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম মূলত উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথা বলতে না দিয়ে হামলা করেছে। এজন্য হামলাকারীদের আমরা গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

নদীবন্দর/জেএস