1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
৮ মাসেও ঠিক হলো না ভেঙে পড়া ব্রিজটি - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১
  • ১৫৩ বার পঠিত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আট মাস আগে ভেঙে পড়া পেকুয়া-অভিরামপুর সড়কের বংশীনগর এলাকার ইনথখাচালা নামক স্থানের ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি আজও। গত বছর ২১ জুন ব্রিজটি ভেঙে বালুভর্তি মাহিন্দ্রসহ খাদে পড়ে। এতে ওই সড়কে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জনসাধারণের চলাচলের জন্য বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মাটি ভরাট করে সরু রাস্তা তৈরি করে দিলেও তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় উৎপাদিত ফসল চাষিরা হাটবাজারে নিতে পারছেন না। এছাড়াও ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মির্জাপুর, সখিপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।

jagonews24

এলাকাবাসী জানান, ব্রিজটি দিয়ে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর, কটামারা, ইনথখাচালা, বংশীনগর, দিঘীবাড়ি, মুথারচালা ও বালিয়াজানসহ সখিপুর উপজেলার রাজাবাড়ি, দেওয়ানপাড়া, বাজাইল ও কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া, মুনচালা ও পাগুড়াচালা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করে থাকে। গত বছরের ২১ জুন সন্ধ্যার পর বালুভর্তি একটি মাহিন্দ্র ব্রিজটি পার হওয়ার সময় ভেঙে পড়ে। সেই থেকে ওই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

অবশ্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টন জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ওই স্থানে মাটি ফেলে সরু রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন। এতে ওই সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী পায়ে হেঁটে ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চলাচল করতে পারলেও মাঝারি ও ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে ওই এলাকার কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী হাটবাজারে আনা-নেয়া করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

jagonews24

অভিরামপুর গ্রামের কৃষক বারেক শিকদার, আব্দুর রউফ, জাকির হোসেন ও খায়রুল ইসলাম জানান, বাঁশতৈল ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের লোকজনের চলাচলে একমাত্র পাকা রাস্তা এটি। রাস্তাটির ইনথখাচালা এলাকার ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় আমরা বেগুন ও কলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এছাড়া কিছু দিন পরই মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল, লিচু এবং আগাম জাতের ইরি বোরো ধান উঠবে। কিন্তু সড়কটির ভাঙা ব্রিজটির কারণে তা বাজারজাত করতে পারবেন না বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রিজটি পুনর্নির্মিত হবে।

নদী বন্দর / এমকে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com