1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
টলটলে হাতিরঝিলের পানি, ডাকছে কোকিল দুলছে ফুল - Nadibandar.com
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৪৭ বার পঠিত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধের) কারণে দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটলেও প্রকৃতিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকায় বায়ু দূষণ যেমন কমছে, তেমনি প্রকৃতির ওপর পড়ছে ইতিবাচক প্রভাব। ‘রাজধানীর অক্সিজেন’ খ্যাত হাতিরঝিলেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) হাতিরঝিল এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, সেখানে চলাচলকারী ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো বন্ধ রয়েছে। এজন্য সেখানকার পানি স্বচ্ছ ও টলমল দেখাচ্ছে।

jagonews24

২০১৬ সালের শেষ দিকে হাতিরঝিলে চলাচল শুরু করে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’। হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এ ট্যাক্সিগুলো এফডিসি মোড় থেকে বাড্ডা সংযোগ সড়ক ও রামপুরা সেতুর মধ্যে যাতায়াত করে। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন তা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সার্কুলার বাসও।

লকডানের মধ্যেও অনেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসছেন। তবে ঘুরতে আসা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই সেখানকার আশপাশে বসবাস করেন। সারি সারি গাছের ছায়ায় বসেছিলেন তারা। কিন্তু অন্যান্য সময়ের তুলনায় লোক সমাগম খুবই কম। তাই বিভিন্ন পাখির ডাকের সঙ্গে কোকিলেরও ডাক শোনা যাচ্ছিল।

jagonews24

হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা বড় মগবাজারের বাসিন্দা মো. সদরুল আলম বলেন, ‘আমি বেসরকারি চাকরিজীবী। আর আজ আমার অফিস বন্ধ। এজন্য হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছি। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন অনেক নিরিবিলি। এছাড়া পানিও টলমলে।’

হাতিরঝিলে প্রবেশ করলে গ্রীষ্মকালীন ফুল সোনালু আর জারুল চোখে প্রশাস্তি এনে দিচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে কিছু দূর পর পরই বেগুনি রঙের জারুল ফুল বাতাসে দোল দিচ্ছে।

মৌচাক-মগবাজার উড়ালসড়ক সংলগ্ন স্থানের তিনটি স্থানে সারি সারি গাছ। ফুটে রয়েছে লাল-হলুদ রঙের ফুল। চার কোণা প্লাস্টিকের পাইপের ফ্রেমের মধ্যে লাগানো হয়েছে গাছগুলো। ৮ থেকে ১০টি করে পাইপের ফ্রেম একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন লম্বা ভাসমান বাগান। তবে পানির দুর্গন্ধ দূর করার জন্য এটা করা হলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি।

jagonews24

পশ্চিম রামপুরার মহানগর এলাকার বাসিন্দা মো. মোবারক বলেন, ‘হাতিরঝিলের ওপর চাপ কমে যাওয়ায় পানি যেমন স্বচ্ছ হয়েছে, তেমনিভাবে প্রকৃতিও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লকডাউন না থাকলে অনেকেই ফুল ছিড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না।’

হাতিরঝিল এলাকাটি ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি উদ্বোধন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। এর ফলে রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকার বাসিন্দাসহ এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন।

নদী বন্দর / জিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com