বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন পর্যালোচনা সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি)। সেই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে নাসা যে তথ্য দিয়েছে, তাতে নিশ্চিত কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে ভারতের। কারণ মার্কিন সংস্থাটি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভারতের ১২টি উপকূলীয় শহর ও বন্দর এক থেকে তিন ফুট পানির নিচে চলে যাবে। এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই, দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রধান শহর চেন্নাই, কেরালার কোচি, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম, পশ্চিমবঙ্গের খিদিরপুর প্রভৃতি। খবর ডয়েচে ভেলের।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণ, উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন কারণে সামুদ্রিক জলস্তর বাড়ছে। এর মধ্যে এশিয়ায় জলস্তর বৃদ্ধির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। আইপিসিসি’র মতে, আগে ১০০ বছরে জলবায়ুর যে পরিবর্তন হতো, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি ছয় থেকে নয় বছরে তা ঘটবে। এই শতাব্দীজুড়ে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জলস্তর বাড়বে, ভাঙন দেখা দেবে, অনেক শহর পানিতে তলিয়ে যাবে।
তাহলে উপায়? পরিবেশবিজ্ঞানী পুনর্বসু চৌধুরী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিভিন্ন আলোচনা হয়। প্যারিস কনভেনশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বহু সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবেশকে তখনই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, যখন ব্যক্তি পর্যায়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যাবে।
তার মতে, গাড়ি, এসিসহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার বা অভ্যাস বদল না করলে শুধু জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না। তেমনটি না হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।
আইপিসিসির প্রতিবেদন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আঞ্চলিক পর্যায়েও বড় পরিবর্তন ঘটতে পারে। কোথাও বৃষ্টি বেশি হবে, কোথাও মোটেই হবে না। খরা দেখা দেবে। কোথাও প্রচুর বরফ পড়তে পারে। ফলে এখন থেকেই সতর্ক হয়ে পরিবর্তন রোধের চেষ্টা না করলে ভবিষ্যৎ হবে মারাত্মক।