নতুন করে দুজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় প্রথম বারের মতো লকডাউন জারি করতে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা। সম্প্রতি রাজধানী নুকুয়ালোফায় দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী সিয়াওসি ওভালেনে বলেন, যে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তারা দুজনই বন্দরের কাজে নিয়োজিত। মূলত ওই বন্দর দিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এবং সুনামির পর মানবিক সহায়তা পৌঁছাচ্ছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটি কিছুদিন আগেও করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু অগ্ন্যুপাত এবং সুনামির পর বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে সহায়তা আসতে শুরু করায় নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে। যদিও ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে যোগাযোগহীন প্রোটোকল ব্যবহার করে সেখানে বিভিন্ন সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬ থেকে সেখানে লকডাউন জারি হচ্ছে। প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের গতি ধীর করা বা থামিয়ে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে কোনো নৌকা চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ টোঙ্গার রাজধানীর বন্দরে নোঙর ফেলে। সেখানকার ৬শ ক্র সদস্যের মধ্যে ২৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। যদিও তারা বলছে যে, ওই জাহাজ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তারা বিশ্বাস করছে না।
দেশটির মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়েই এগিয়ে আছে টোঙ্গা।
নদী বন্দর / বিএফ