শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত দেব অভিনীত বাংলাদেশি সিনেমা ‘কমান্ডো’ নিয়ে আলোচনা থামছেই না। সিনেমাটির ঘোষণা আসার পর থেকেই আলোচনায় এটি। শুরুতে এ সিনেমার নাম ‘মিশন সিক্সটিন’ থাকলেও পরে পরিবর্তন করে ‘কমান্ডো’ রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছিল সিনেমাটির ৬০ সেকেন্ডের টিজার। তা দেখে সিনেমাটিতে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন নেটিজেনরা। মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হকও মুখ খুলেছেন সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
সিনেমার বাকি অংশের চিত্রায়ণ হওয়ার কথা বাংলাদেশে। ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি চাঁদপুরে চিত্রায়নে অংশ নেওয়ার কথা দেবসহ অনেকের। কিন্তু তার আগেই গেল শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ‘কমান্ডো’ সিনেমার শুটিং বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন চাঁদপুরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা।
‘কমান্ডো’ বিতর্ক প্রসঙ্গে এর আগে পরিচালক, প্রযোজক এবং নায়িকা মুখ খুলেছেন। কথা বলেছেন সিনেমাটির পক্ষে। তাদের দাবি, সিনেমায় ইসলাম ধর্ম অবমাননা করা হয় এমন কিছু তুলে ধরা হয়নি। যদিও তুমুল বিতর্কের মুখে অন্তর্জল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে টিজারটি। পরিচালক শামীম আহমেদ রনী জানিয়েছেন, নতুন করে টিজার প্রকাশ করা হবে। তারপরও থামছে না ‘কমান্ডো’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা।
বিতর্ক প্রসঙ্গে ফের মুখ খুলেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার ও ‘কমান্ডো’ সিনেমার প্রযোজক সেলিম খান। প্রযোজনা সংস্থার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তিনি। সেলিম খান লিখেছেন, ‘আমি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে একজন ক্ষুদ্র সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এ জন্য নিজস্ব অর্থায়নে নিজের এলাকায় নির্মাণ করেছি দুটি মসজিদ। এছাড়া একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব নির্মাণ ও পরিচালনায় আমি আমার সাধ্যমত সহায়তা করেছি এবং করছি। ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আমি আমৃত্যু কাজ করে যাবো।’
‘কমান্ডো’ সিনেমার গল্পে ইসলামের নাম ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সেলিম খান। তিনি বিশ্বাস করেন, ‘ইসলামই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শান্তির ধর্ম এবং প্রকৃত কোনো মুসলমান জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত না।’
দর্শককে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেলিম খান আরও লিখেন, ‘ছবি নির্মাণের পর সেন্সর বোর্ডে জমা হবে। ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কিছু থাকলে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দেবে না। কমান্ডো সিনেমার প্রযোজক হিসেবে আমি বলতে চাই, এ সিনেমায় ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কিছুই নেই এবং থাকার প্রশ্নই আসে না। দয়া করে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।’
নদী বন্দর / জিকে