সামনেই ব্যস্ত সূচি আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। তা সামনে রেখে গত রবিবার থেকে ক্যাম্প শুরু করেন ২৮ নারী ক্রিকেটার। অক্টোবরে এশিয়া কাপসহ ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে আলোচনায় বেশি উঠছে এশিয়া কাপ। কেননা টুর্নামেন্টটির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
কুয়ালালামপুরে ২০১৮ সালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল টাইগ্রেসরা। এরপর কোভিড-১৯-এর কারণে বারবার পেছাতেই থাকে এশিয়া কাপের সূচি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবর মেয়েদের এই আসরের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। যেহেতু নিজের মাঠে খেলা তাই শিরোপা ধরে রাখতে নিজেদের সেরাটা দেবেন টাইগ্রেসরা।
গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের জ্যোতি বলেন, ‘আমরা কিন্তু এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে আছি। এশিয়া কাপের আগে আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলব, আমাদের জন্য ভালো প্রস্ত্ততি হবে। ইচ্ছে তো আছে ট্রফিটা নিজের ঘরে আছে, নিজের ঘরেই রাখার জন্য। ১১০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করব আমাদের ট্রফি আমাদের ঘরেই রাখতে।’
মেয়েদের ব্যাটিংয়ে ডট বল খেলার রোগটা বেশ পুরোনো। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন এমন ব্যাটারের সংখ্যাও দলে কম। যার ভালো আছে তাদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানালেন জ্যোতি, ‘আমরা বরাবরই ব্যাটিং নিয়ে বেশি স্ট্রাগল করি। দুয়েকজন প্লেয়ার আছে ইমার্জিং, তাদের নিয়ে কোচরা কাজ করছে, যেন আমাদের ঐ ঘাটতি পূরণ করতে পারে।’
২০২৪ নারী টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক যে বাংলাদেশ, এ কথা এখন প্রায় সবারই জানা। ১০ বছর পর আবারও নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতেই টি-২০ বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল টাইগ্রেসদের।
এরপর থেকেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সর্বোচ্চ আসরে নিয়মিত খেলছে। নিজের দেশে বিশ্বকাপ সেটা শুনেই কেমন রোমাঞ্চ অনুভব করছেন জ্যোতি, ‘খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়। নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে যা দলকে বুস্ট আপ করতে অনেক বেশি সাহাঘ্য করে।’
নদী বন্দর/এআরকে