নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। শহরের প্রাণ কেন্দ্রেই রয়েছে জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পাহাড়, ঝরনা, লেক, ঝুলন্ত সেতু, নানা ধরনের ফুল ও বন্য পশু-পাখি পর্যটকদের বিমোহিত করে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বর্ণিল সংস্কৃতি পর্যটনকে করেছে আরও আকর্ষণীয়।
প্রায় ১০ একর পাহাড়ি ভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঠিক রেখে ২০১০ সালে অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কটি তৈরি করা হয়। এখানে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, লেক, ঝরনা, লাভ পয়েন্ট, ছোটদের জন্য রেলগাড়ি, নৌকা ভ্রমণ ও নাগরদোলাসহ বেশকিছু চিত্তবিনোদনের সুযোগ।
রয়েছে শতাধিক বিভিন্ন ফলের গাছ। তা ছাড়া পার্কে পাবেন পার্বত্য এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান, স্টল ও পিঠার দোকান।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এখনও তা চালু হয়নি। এতে করে পাহাড়ে ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন সম্ভাবনাও পিছিয়ে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কমিউনিতি ট্যুরিজম যদি খাগড়াছড়িতে আমরা শুরু করি, খাগড়াছড়ির স্থানীয় জনগণ খুবই উপকৃত হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে তারা সমৃদ্ধ হবে।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে, পর্যটকদের আর্কষণ বাড়াতে কাজ করছে ।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আলু টিলায় যে দুটি পাহাড় আছে সেই পাহাড় দুটি কানেক্ট করে আমরা একটি স্টিল সেতু করছি। সেই সেতুতে দুটি গ্লাস বেলকনি থাকবে। যাতে একজন পর্যটক ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পেতে পারেন।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে পার্কটি।
নদী বন্দর / জিকে