1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় জাটকা নিধনে অসাধু জেলেরা - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪৪ বার পঠিত

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় অভয়াশ্রম চলাকালে জেলেরা অবাধে জাটকা নিধন করে চলছে। স্থানীয় জেলেদের দাবি বহিরাগতরা এসে এ নদীতে জাটকা নামক ছোট ইলিশ নিধন করছে। 

মৎস্য বিভাগ বলছে, নদীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু অসাধু জেলে লোভ সামলাতে না পেরে রাতের আঁধারে জাটকা নিধনে নামছে।

সরকার জাটকা রক্ষায় প্রতি বছরের মত এবারও মার্চ-এপ্রিল দু‘মাস পদ্মা-মেঘনায় জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত  ৯০ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। স্থানীয় জেলেরা নদীতে না নামলেও মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জেলেরা প্রতিদিন দলবেধে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় অবাধে জাটকা নিধন করছে। 

স্থানীয় জেলে কামাল দেওয়ান ও ফজলু বেপারী অভয়াশ্রম পালনকালে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অভয়াশ্রম চলাকালে নদীতে মাছ না ধরায় পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করছি। অভিযানকালে ৪০ কেজি খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ বৃদ্ধি ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি করেন তিনি।

মৎস্য ব্যবসায়ী হযরত আলী বেপারী জানান, মাছঘাটে মূলত ইলিশ ও নদীর মাছ বেশী বিক্রয় হয়। নদীতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছঘাট এখন ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত বলেন, আমরা সচেতন ব্যবসায়ী।

তাই সরকারী আদেশ সবসময় মেনে চলি। মার্চ-এপ্রিল ২ মাস আড়তে নদীর মাছ বিক্রয় করিনা। শুধু চাষের চিংড়ি, রুই, কাতল, মৃগেল বিক্রয় করে থাকি। চাঁদপুর মাছঘাটে ২৮৭ জনের মধ্যে বর্তমানে ১৩১ জন আড়ৎদার রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে অভয়াশ্রম চলাকালে জাটকা মাছ বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা রয়েছে। 

চাঁদপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিনা আক্তার বলেন, মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের সহায়তায় জাল, নৌকা জব্দ এবং আটক জেলেদের কারাদন্ড ও জরিমানা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জাটকা ইলিশ রক্ষায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি অভয়াশ্রমে জাল ফেলা বন্ধ করতে প্রচার প্রচারনা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল হওয়ায় মৌসুমে ইলিশের প্রাচুর্য ছিল।

আমাদের জেলেরাই মৌসুমে এ ইলিশ শিকার করে লাভবান হবেন। চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিনে ৫১ হাজার ১শ ৯০ জন জাটকা জেলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এপর্যন্ত ২’শ ৯৩টি অভিযানে আইন অমান্যকারী আটক ১শ’ ৭১জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

জব্দ করা হয়েছে সাড়ে ১২’শ মেট্রিক টন জাটকা ও ৫৪ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল। জাটকা রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্যে মৎস্য আইনে ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com