1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আমদানি খরায় লাগামহীন পেঁয়াজের দাম - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৫২ বার পঠিত

আবারও পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। হুড়হুড় করে বাড়ছে দাম। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় হঠাৎ এ দাম বৃদ্ধি, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের বাজারে মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে এ কাঁচা পণ্যটির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকা ও ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা (ন্যাপেড) রপ্তানির জন্য বরাদ্দকৃত পেঁয়াজের দাম না বাড়ানো সত্ত্বেও পণ্যটি আমদানিতে কোনো উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না দেশীয় আমদানিকারকদের মধ্যে। তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। সে কারণে ভারতেও সাময়িক পেঁয়াজ সংকট দেখা দিয়েছে।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতের স্থানীয় বাজারগুলোতেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে তাদের নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২২ থেকে ২৩ রুপি করে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ রুপিতে। যা আগে ছিল ১৬ থেকে ১৮ রুপি।

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত (১৩ দিনে) দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর ৩০ টন ও ৩০ সেপ্টেম্বর ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এ পথে।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো মনিটরিং নেই, ফলে বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বাজার মনিটরিং থাকলে দাম এতটা লাগামহীন হতো না।

বেনাপোল বন্দরের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শুকুর আলী জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম। যা-ও আসছে তা অর্ধেক পচা পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাজারের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না, ফলে দামও কমছে না। বাইরে থেকে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার সম্ভাবনা কম। দেশের চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ হয় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী নূরুল আমিন বিশ্বাস জানান, আমি গত দুই চালানে মাত্র ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৬০ মার্কিন ডলারে এলসি করেছি। বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টনের দাম পড়েছে ২২ হাজার ৮৭ টাকা প্রায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা দেখা দেওয়ায় বাজারে পেঁয়াজ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের স্থানীয় বাজারগুলোতেও দাম বেড়েছে। যে কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে এখন কোনো লাভ নেই।

তিনি বলেন, এছাড়া অনেক পেঁয়াজ নষ্ট পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমদানিতে উৎসাহ হারাচ্ছেন অনেকে। বাজারের ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ একটু বেশি দামে কিনলেও ভারতীয় পেঁয়াজ নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাই বেশি কিনে। ভারতীয় পেঁয়াজের তেমন আমদানি না থাকায় এবং দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মা সরস্বতী এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বাপ্পা মজুমদার জানিয়েছেন, বন্যার কারণে পেঁয়াজের দাম ভারতের স্থানীয় বাজারে বেড়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ভারত সরকারের কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থা (ন্যাপেড) পেঁয়াজ রপ্তানিতে কোনো মূল্য নির্ধারণ করেনি। কী কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের এলসি করছেন না, সেটা আমি জানি না।

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, সবশেষ ২২ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে দুটি চালানে ৩০ মেট্রিক টন করে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি মেট্রিক টন ৩১০ মার্কিন ডলারে অ্যাসেসমেন্ট (শুল্কায়ন) হচ্ছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ২৬ হাজার ৩৪৫ টাকা প্রায়। পণ্য ছাড়ে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ৫ ভাগ হারে শুল্ক ও ৫ ভাগ এআইটি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com