কাতারের রাজধানী দোহাতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা হামাসের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে এক বৈঠকে আলোচনার সময় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে দোহায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
কাতারের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতি বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের সমন্বয়ে হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের এসব নেতা বেশ কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ইসরায়েলের ৭ অক্টোবর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।’
অন্যদিকে এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, কাতারে হামলার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, বৈঠকে হামাসের অন্যতম প্রধান নেতা খালেদ মাশাল উপস্থিত ছিলেন, যাকে ১৯৯৭ সালে জর্ডানে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
এদিকে দোহায় হামাস নেতাদের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেছে কাতার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর বেশ কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে আবাসিক ভবনে চালানো হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির চরম লঙ্ঘন। এটি কাতারের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গুরুতর হুমকি।”
তিনি আরও বলেন, ‘কাতার ইসরায়েলের এই ধরনের বেপরোয়া আচরণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যাঘাত ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে চালানো যেকোনো পদক্ষেপে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে এবং বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে তা দ্রুত জানানো হবে।’
সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল
নদীবন্দর/এএস