যুক্তরাষ্ট্রের হামলার শঙ্কার মধ্যে রাশিয়ার কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে ভেনেজুয়েলা। জবাবে রাশিয়া জানিয়েছে তারা তাদের মিত্র দেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মস্কোর কাছে তাদের সুখোই যুদ্ধবিমান মেরামত, রাডার সিস্টেম আপগ্রেড এবং মিসাইল ব্যবস্থা দিতে আহ্বান জানান। খবর রয়টার্সের।
এর জবাবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভেনেজুয়েলাকে সহায়তা করতে তারা প্রস্তুত। এছাড়া ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে কোনো ধরনের উস্কানি সৃষ্টি না করতে সতর্কতা দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েকদিন ধরেই ওই অঞ্চলে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে। সঙ্গে নিজেদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী নিয়ে গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এমন সময়ই রাশিয়ার কাছে সহায়তা চেয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, ভেনেজুয়েলার খুব কাছে পৌঁছে গেছে মার্কিন বি-৫২ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান। তাও আবার একটা নয়, একজোড়া।
ভেনেজুয়েলার সীমান্তের কাছে আকাশে মার্কিন বোমারু বিমানের টহল দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আবার কি একটা যুদ্ধ দেখতে চলেছে বিশ্ব? এই নিয়ে চতুর্থবার ভেনেজুয়েলার খুব কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের শক্তি জাহির করল মার্কিন বিমানবাহিনী।
মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখে তড়িঘড়ি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ভেনেজুয়েলাও। অ্যালার্ট মোডে রাখা হয় তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
সাম্প্রতিক সময়ে দু’বার বি-৫২ বোমারু বিমান ছাড়াও দু’বার বি-১বি মার্কিন বোমারু বিমানও ভেনেজুয়েলার খুব কাছে আকাশপথে টহল দেয়।
এছাড়াও পুয়ের্তো রিকোতে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান-ও। সবমিলিয়ে ক্যারেবিয়ানে এই মুহূর্তে অন্তত ৬টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায়।
ট্রাম্পের দাবি, ভেনেজুয়েলার ড্রাগ মাফিয়ারাই তার টার্গেট। ড্রাগ পাচারের অভিযোগে অন্তত ১৭ বার ভেনেজুয়েলার পণ্যবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক হামলায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দাবি।
নদীবন্দর/এএস