আইপিএল মানেই টাকার খেলা। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট পিছিয়ে হলেও তাই আইপিএল আয়োজন করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। এই টুর্নামেন্ট থেকে লাভবান হন বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ, স্টাফ এমনকি তাদের বোর্ডও। তাই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা-সব দেশই আইপিএলের পক্ষে কথা বলে।
করোনার মধ্যেও আইপিএল চলা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না কারও, ভারতের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে খেলতেও। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা তো বলেই দিয়েছিলেন, মাঠের বাইরে করোনা পরিস্থিতি যেমনই হোক, আইপিএল চালিয়ে যেতে চান তারা।
কিন্তু করোনা থেকে রেহাই মেলেনি বায়োবাবলে থাকা ক্রিকেটার-কোচদেরও। একের পর এক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় অবশেষে মঙ্গলবার বাধ্য হয়ে টুর্নামেন্ট স্থগিত করার ঘোষণা দেয় আয়োজকরা।
দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যে আইপিএল চালিয়ে যাওয়ায় অনেক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় আয়োজক কমিটিকে। কিন্তু তারা পারতপক্ষে টুর্নামেন্টটা বন্ধ করতে চাইছিলেন না। কেন? সেই কারণটাও বোধগম্য।
আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় যে বিপুল অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখেই পড়তে হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত জানেন? ২ হাজার কোটি থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা। হ্যাঁ, চোখ কপালে ওঠার মতোই অংকই।
এই বিপুল ক্ষতির মূল কারণ সম্প্রচারকারী সংস্থা ও বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে কম টাকা পাবে বিসিসিআই। এই দুটি জায়গা থেকেই ১৬৯০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বোর্ড। মূল বিজ্ঞাপনদাতার থেকে বছরে ৪৪০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা তাদের। কিন্তু এই বছর এর অর্ধেক বা তারও কম টাকা পাবে বিসিসিআই।
সম্প্রচারকারী সংস্থার কাছ থেকে বছরে ৩২৬৯.৪ কোটি টাকা পাওয়ার কথা বোর্ডের। কিন্তু এবার আইপিএলে ৬০টি ম্যাচ না হওয়ায় অনেক কম টাকা পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
নদী বন্দর / এমকে